খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লেখক, গীতিকার, সুরকার ও বিভিন্ন গুণীজনদের নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট উটের আয়োজনে বৃহস্পতিবার(২১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা শহরের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হল রুমে এই সেমিনারের অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক জিতেন চাকমা।
তিনি বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনিস্টিউটের মাধ্যমে প্রতিবছর এই সংবর্ধনা দিয়ে থাকি আমরা। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে এই ৬ জনকে একটি করে ক্রেস্ট ও দশ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। এই সংবর্ধনা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে গুনীজনদের নিয়ে।
আয়োজিত সেমিনারে জেলা পরিষদ সদস্য নিলোৎপল খীসার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী।
গুণীজনদের নিয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রতিবারই এই সংবর্ধনা দিয়ে থাকি। গুনীজনরা আমাদের সকল বিষয়ে অবদান রাখেন। এদের মাধ্যমে আমাদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতি আরো এগিয়ে যাবে। যাতে করে আমাদের সংস্কৃতি গুলো সাধারণ মানুষের মাঝে সারা জীবন টিকিয়ে রাখাতে পারে তাই গুনীজনদের উৎসাহ দিয়ে থাকি। এতে করে সকলে মিলে সংস্কৃতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে পারে।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ব্যক্তিদের নিয়ে সেমিনার শেষে ২০১৯-২০অর্থবছরের গুণীজন হিসেবে মারমা সংস্কৃতি এবং সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য মারমা সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী পাঙখুং গীতিনাট্যের সংগঠক থুইহ্লাঅং মারমা, তহ্ লা নৃত্য সংগঠক মংজশিং মারমা এবং লোক ঐতিহ্যের মংক্যচিং মগসহ ৩ জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
২০২০-২১ অর্থবছরে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মধ্যে সংগীত চর্চায় রত্নকুমার ত্রিপুরা, গবেষণায় মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা এবং সাহিত্য ক্ষেত্রে শোভা রাণী ত্রিপুরাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সংবর্ধনা পাওয়ার পর তারা জানান, আমরা বিভিন্ন বিষয়ে অবদান রাখান কারনে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ইনিস্টিউটের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দিয়েছে। এতে আমাদের আরো উৎসাহ বেড়েছে। আমরা আগামীতে আরো অন্যকিছু নিয়ে চিন্তা করবো। যাতে করে আমাদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজন আমাদের কাছ থেকে নতুন কিছু পায়।